আজ ভোর থেকে
রঙীন একটা প্রজাপতি আমাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে,
ওর চোখ ধাঁধানো রঙবেরঙের পাখা, হাওয়ায় ভাসা অবয়ব
সব কিছুই কী অপরূপ !
তবু কিছুতেই সে ধরা দেয় না।
একটা সাদা কাগজের ফাঁদ পেতে বসে আছি ,
ওর সব রং শুঁষে নিয়ে ছড়িয়ে দেব আমার ফাঁদে ,
শৈল্পিক চিত্রিত আলপনায় ভরে উঠবে সাদা উঠান
সেই আশাতেই সময় যাই গড়িয়ে।
বড় নিঠুর প্রজাপতি , কিছুতেই দেয় না ধরা।
বাড়ছে বেলা,
অন্তবিহীন এই লুকোচুরির খেলা আর শেষ হয়না
একটা ধুধু খোলা প্রান্তরে ছুটে চলি ওকে অনুসরণ করে
মাঠ জুড়ে সবুজ ঘাসের গালিচা,
সর্ষে ক্ষেতের হলুদ আভা ছড়িয়ে আছে
সেই হলুদ ফুলেদের মাঝখান দিয়ে চলতে চলতে
যেই একটা সবুজ গাছের নিচে এসে পড়েছি
পাতার ফাঁকে গিয়ে লুকোলো সে।
তারপর একসময় গলদঘর্ম হয়ে
যখন শ্রান্তদেহে গাছের শেষ ডালটা ধরে ফেলেছি
সে উড়লো আকাশের নীলিমায়, মেঘেদের মাঝখানে
আমিও গা ভাসালাম খোলা আকাশের সীমানা ছাড়িয়ে
অনেক দূরে ,
আর তখনি খেলা থামিয়ে প্রজাপতিটা বললে
"আজ নোই অন্য কোনোদিন অন্য এক সময়"
আমার খাতা রয়ে যায় অমলিন
ধু ধু প্রান্তরটির মতো
একেবারে আনকোরা।