শিথানের পাশের ঐ গবাক্ষটিকে বন্ধ কোরো না বালিকা,
উন্মোচিত থাকুক সারাদিন আমার দু’চোখ জুড়ে।
অশান্ত ভিজে বাতাসে উন্মনা হই আরো একবার,
দূর থেকে ভেসে আসুক আমার শৈশব, কৈশোর,
আর কাজললতা গ্রামের শীতল স্পর্শ ।
আমার দৃষ্টি জুড়ে ভেজা সবুজ, মধুমতীর জঙ্গল,
ঝাউবন, উতল হাওয়ায় ঢেউখেলানো ধানের মাতামাতি।
সেই সবুজে মিশে যাক মনের গভীরের
নান্দনিক চেতনার আলো ।
তুমি বড় ভীরু, কেন ভীত হও আমার জরাজীর্ণ দেহটিকে নিয়ে?
যে উষ্ঞতা আমার দেহঘিরে ছড়িয়ে রয়েছে আজ,
সে কোন ব্যাধি নয়, পড়ন্ত বেলার ঐশী উপহার।
একদিন এই উপহারটিকে সম্বল করে
প্রশান্তচিত্তে ছেড়ে যাবো সব কিছু।
বেদনার দিন শেষ হবে,
মুক্তির বিজয়কেতন উড়বে আকাশে।
তুমি চাওনা আমি উদ্বেলিত হই আরো একবার,
ঝাপটা ঝড়ের মাতামাতি আর বৃষ্টিধারার মাঝে?
পায়ে পড়ি বালিকা, খুলে দাও ঐ বন্ধ গবাক্ষদ্বার,
আনন্দধারায় উদ্বেলিত হই অন্তত আরো একবার।